“পৃথিবীতে লেখাকরাই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ। বাদশাহও লিখে ধন্য হন। বাবর তাই “বাবুরনামা” লেখেন। সৈনিকরাও লেখেন। এমনকি পুলিশও লেখে “আমি যখন পুলিশ ছিলাম”। লেখেন বিজ্ঞানী, দার্শনিক, এমনকি তুচ্ছ যে রাধুনী সেও লেখে। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের খানসামা পল বারেল ডায়নাকে নিয়ে লিখেছিলেন, “এ রয়্যাল ডিউটি”। শেষ পর্যন্ত লেখে না কে? রাজনীতিবিদরাও লেখেন। গান্ধী লিখলেন, “মাই এক্সপেরিমেন্ট উইথ ট্রুথ”। ম্যান্ডেলা লিখলেন “লং ওয়াক টু ফ্রিডম।” কারন সমস্ত বুদ্ধিমান, জ্ঞানী কিংবা চতুর মানুষই জানে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে হলে শুধু কর্মই নয়, কিছু একটা লিখে রেখে যাওয়াও দরকার। কারণ এগুলো নিয়েই হয়তো কথা হবে। আজ বাবর নেই, তার সা¤্রাজ্যও নেই, কিন্তু আমার বিছানার উপর বালিশের পাশে কবেকার কোন স¤্রাটের লেখা এমনকি যার চেহারা মোবারকও আমি কখনও দেখিনি তার লেখা “বাবুরনামা”টা ঠিকই আছে। আপনারও লেখালেখি করাটা এতোটাই জরুরী যতোটা জরুরী পেটের গ্যাস বের করে দেওয়া। তাই লিখুন মনের কথা।”
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment