Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

কাগজ ছেঁড়ার খেলা : প্রগাঢ় বোধের কবিতা / ইয়াসির আজিজ


ওমর খালেদ রুমি লেখেন প্রচুর। তার প্রমাণ তার গ্রন্থতালিকা। ২০০১ এ  বেরিয়েছে তার প্রথম গ্রন্থ। ২০০৯ এ দেখা যাচ্ছে এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে দশটির অধিক বই। ওমর খালেদ রুমি সব্যসাচী লেখক। কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প-সর্বত্র তার সমান বিচরণ। ‘কাগজ ছেঁড়ার খেলা’ ওমর খালেদ রুমির সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। ছোট আকারের বই নয়, ছিয়ানব্বই পৃষ্ঠার একটি বই, যাতে কবিতা রয়েছে মোট চুরাশিটি। একজন তরুণ তার অন্যান্য কাজের বাইরে লেখার জন্য সময় আলাদা করে রাখেন, কিংবা বলা যায় অন্যান্য কাজের যথেষ্ট প্রয়োজন স্বত্তেও লেখালেখির জন্য যথেষ্ট সময় ব্যয় ও পরিশ্রম করতে দ্বিধাবোধ করেন না। আর তারই ফসল হয়ে ওঠে তার অজস্র লেখা। কিন্তু শত শত পৃষ্ঠা লিখে গেলেই চলে না। সবচেয়ে বড় শর্ত থাকে যা তা হলো লেখাকে মানসম্মত হতে হয়। হঠাৎ হঠাৎ একটি দুটি মানসম্মত কবিতা বা গল্প কেউ কেউ লিখে দেখাতে পারেন, তা প্রকাশ হলে তিনি প্রশংসাও কুড়োন, কিন্তু অজস্র ধারায় প্রতিনিয়ত লিখে যেতে হলে প্রয়োজন হয় গভীরতর সত্তায় শিল্প তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন গুণ। এই গভীর সত্তায় সর্বাংশে কবি বা গলপকার বা উপন্যাসিক বা একই সঙ্গে সকল কিছু হওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব নয়, খুব কম সংখ্যকই তা পারে। সেই কমসংখ্যক মানুষের সঙ্গে নিজেকে সামিল করতেই ওমর খালেদ রুমির এতসব সৃষ্টি-তাড়না, নাকি শুধুই লেখার আনন্দে লেখা, সেই প্রশ্নের বিশদ ব্যাখ্যার চেয়ে তার একটি কাব্যগ্রন্থের আলোচনা বা পাঠ এর মাধ্যমেই বরং তাকে বুঝে নেওয়া যায়। ‘কাগজ ছেঁড়ার খেলা’ গ্রন্থের অধিকাংশ কবিতাতে যা স্পষ্ট হয়ে ওঠে তা হলো কবির অনুভূতিপ্রবণ মন এবং একই সঙ্গে জীবনের অভিজ্ঞান। জন্ম, মৃত্যু, বেঁচে থাকা, প্রেম, আকাক্সক্ষা এসব কিছু নিয়েই কবির মনে বহুদিনের নানা প্রশ্নোত্তর একটা পরিণত বোধে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে তার কবিতার পঙক্তিগুলি প্রায়শই সেই বোধের সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। এই বোধের প্রগাঢ়তা ও ঋদ্ধতাই একজন কবির কবিতাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত হতে সাহায্য করে, এই সত্য রুমির কবিতাতে বারবার বেজে ওঠে।
‘চলো ওঠা যাক। অনেক কথা হলো আজ/ বিমূর্ত রাত্রির মতো অন্য এক আঁধার/ খেলা করে ভেতরে তুমুল। তুমি কি অপেক্ষারত?/ আমার সময় নেই। আমি উঠে যাব...’ বইয়ের প্রথম কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি এরকম। এই কবিতায় যা দেখা যায় তা হলো কবির মধ্যকার বিভক্তি। কবি উঠে পড়বেন বলে প্রস্তাব করছেন এবং একই সঙ্গে অন্য একজনকে কল্পনা করছেন যে কিনা অপেক্ষারত। পরবর্তি পঙ্ক্তিগুলোয় কবি প্রেমের চিরন্তন আকর্ষণ এবং সেইসঙ্গে পাপপূণ্য ও প্রাচীনত্ব ও আধুনিকতা নিয়ে হালকা হালকা রঙের আঁচড়ের মতো তৈরি করেছেন ধারণার বিভিন্নতা।
কবিতাকে ঠিক এ সময়েরই কবিতা করবার ক্ষেত্রে যে পরিমিতি বোধ, আঙ্গিক সচেতনতা, চিত্রকল্প ও উপমা-উৎপ্রেক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব নতুন কোন অবয়বের প্রয়োজন, তার সকল কিছুই ওমর খালেদ রুমি কবিতায় ধরে রাখতে সচেতন। দেখা যার অনেকাংশে তিনি সফলও। ছোট্ট একটি কবিতা, ‘জীবন’ এতে দেখা যায় তার গভীরতা স্পর্শ করবার ক্ষমতা। ‘জীবন আমার কাছে রাত্রি, ছোপ ছোপ অন্ধকার/ অবহেলা, নিশীথের অন্ধকারে আলোর প্রত্যাশা/ কঠিন খেলা; ভিন্ন এক মেলা।’
ওমের খালেদ রুমির কবিতায় প্রেমের বিচার বিবেচনাই প্রধান। কিন্তু প্রেমের কাছে তিনি হৃদয়কে সমর্পণ করেও পরক্ষণে উচ্চারণ করেন অন্য বোধের পঙ্ক্তি। কখনো কখনো তার এমনও উপলব্ধি হয় :
‘ভোগের আরাধনা কখনই প্রশান্তি আনে না।’ অথবা, ‘এখন আমার চোখ দুটোকে কেবলই মনে হয় অর্থহীন/ আর তোমার ধূসর গ্রীবার ভাঁজে জমেছে শুধুই ঝুলকালি।’
কিন্তু অনেক কবিতাতেই কবি সরাসরি প্রেমের বন্ধনা করেছেন। ‘যেখানে রাতের ফিনফিনে আঁধারেও/ নারী তার শাড়ি খুলে ফেলে নির্দ্ধিধায়/ নগ্নতা যেখানে ধ্র“পদী আর/ ক্ষরণ যেখানে পবিত্র প্রবাহ/ তার কাছে যাব’
ভাবনার গভীরতায় যেমন ডুব দেওয়ার অভ্যাস, তেমনি সহজতাকে সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা আছে ওমর খালেদ রুমির। ফলে কাগজ ছেঁড়ার খেলা কাব্যগ্রন্থের কবিতা সকল শ্রেণির পাঠকেরই ভালো লাগবে। কাগজ ছেঁড়ার খেলা বইটি প্রকাশ করেছে মুক্তচিন্তা প্রকাশনা। প্রকাশ কাল ফেব্র“য়ারি ২০০৯। প্রচ্ছদ এঁকেছেণ ওমর খালেদ রুমি নিজেই। বইটির মূল্য আশি টাকা।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে