একটা অজানা শংকা সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। না জানি কখন কি হয়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আগেও দোয়া পড়ে বের হতাম। আয়াতুল কুরসি এবং অন্যান্য দোয়া পড়ে বুকের উপর তিন ফুক। তারপর সুবহানাল্লাহ্ বলতে বলতে সিড়ি থেকে নিচে নামা। এর সাথে বর্তমানে যা যুক্ত হয়েছে তা হলো দরোজার কাছে দাঁড়িয়ে এই একই দোয়া দরূদ স্ত্রী এবং দুই কন্যা সহ চার জনে পড়ে অতঃপর সবাই সবার বুকে ফুক দিয়ে বাইরে বের হওয়া। ব্যাপারটা আগে স্বাভাবিক ভাবেই করতাম। ইদানিং এটা করার সময় গলা বুক শুকিয়ে আসে। কারণ আর কিছু নয়। একবার বাইরে বের হলে ঘরে ফিরব তো?
হঠাৎ করে এই ভাবনা কেন পেয়ে বসল। তার কারণ কারোরই অজানা নয়। এটা অদৃশ্য ভীতি আর শংকার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। মুখ ফুটে কিছু বলি আর না বলি এটাই সত্য। যদিও এ পর্যন্ত কোনো কিছুই মহামারীর আকার ধারন করেনি। তবুও শান্তির সময়ে সামান্য অশান্তিও অনেক বেশী আতংক সৃষ্টি করে। একটা যুদ্ধ কালীন পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই ঘটবে বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে সেরকম কোন সময় এখনও আসেনি। তবুও খেলা জমে উঠেছে। ভীতির খেলা। যারা মাঠে নেমে পড়েছে তারা অদৃশ্য। সবাই যার যার মতো বলে। আসলে আমার মনে হয় লোকগুলো এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
ব্যাপরটাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কিছু একটা অদৃশ্য ছায়ার মতো অনুসরণ করছে আমাদের। সেটা যে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিগত দিনের ঘটনা প্রবাহ তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। সামান্য পটকার বিস্ফোরণ দিয়ে শুরু হয়েছিল। এখন রাতারাতি বোমায় পৌঁছে গেছে। ঘটনার গতি যে পাশ্চাদমুখী নয় তা স্পষ্ট। আর কেউ না বললেও আমি বলছি। আমরা সুস্পস্ট আতংকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
আসলে কোথায় যাচ্ছি আমরা। একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে। ঘটনার সুরতহালও হচ্ছে। সিদ্ধান্তও আসছে। সেই সিদ্ধান্ত কতোটা সঠিক তাও বোঝা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ উপপ্রধান মন্ত্রী এতোদিন পর বলছেন, ইরাক আক্রমন সঠিক ছিলো না। এমনকি আক্রমন পরবর্তী সিদ্ধান্তগুলোও ভুল ছিলো। ইরাকের আভ্যন্তরীণ সমস্যা এখন পৃথিবীব্যাপী মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষগুলো দিনে দিনে দানব হয়ে উঠেছে। এই কিছুদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে এর সামান্য আঁচ মাত্র লেগেছিল। এখন মনে হচ্ছে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। লক্ষণ মোটেও ভালো ঠেকছে না। ইতোমধ্যে আর যাই হোক লোক জনের সুস্থ্য স্বাভাবিক চিন্তার গতিধারা ব্যাহত করার কাজটি সাথর্কভাবেই হয়ে গেছে।একটা জাতিকে পরাজিত করতে হলে এটা হলো প্রথম ধাপ। তার ভাবনাকে এলোমেলো করে দেওয়া। আমরা সম্ভবতঃ প্রথম ধাপটিতে পা রেখেছি। এভাবেই হয়ত উপরে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর শূন্য থেকে ছুঁড়ে ফেলা হবে। এমনটাই মনে হচ্ছে।
আধুনিক পৃথিবীর প্রথম বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল ফ্রান্সে। ফরাসী বিল্পব নামেই যার পরিচিত। সেই বিপ্লবের রাস্তা ধরে সম্পুর্ণ ভিন্ন কায়দায় রুশ বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্যে একই ছিলো। পরিবর্তন। পরিবর্তন ঠিকই হয়েছিলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই পরিবর্তন সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনি। আফ্রিকার বিরাট সংখ্যক মুক্তিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র আজও অভিভাবকহীন হয়ে দুর্ভিক্ষের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। স্বাধীনতা তাদের জন্যে পরাধীনতার চেয়েও জঘন্য আর্থ সামাজিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তারা এক অন্তহীন অনিশ্চিত গন্তব্যে হাতড়ে বেড়াচ্ছে। সত্যিই দুঃখজনক। পরিবর্তন সব সময় মঙ্গলজনক নয়। অভিভাবকহীন সময় কল্যাণকর নয়। তাই বলে স্বাধীনতাকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। মূলতঃ অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই মূল্যবান।
বাংলাদেশের জন্ম বিশ্ব রাজনীতিতে কিছুটা হলেও নাড়া দিয়েছিল। প্রভাবশালী না হলেও জাতি রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান বিশ্বের দরবারে গরুত্বপূর্ণ ছিলো। তার হাত থেকে বেরিয়ে আসা বিশ্ব রাজনীতিকে কিছুটা হলেও নাড়া দিয়েছিলো। পরবর্তীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহ আরও জটিল আকার ধারন করে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়ে গেছে। সবার নজর সেদিকেই ছিলো।
কিন্তু সব কিছু একসময় থিতু হয়ে আসে। মানুষ আবার নষ্টালজিয়ায় ফিরে আসে। স্বাধীনতার পয়তাল্লিশ বছর পর বাংলাদেশ প্রসঙ্গ কারো কারো কাছে নষ্টালজিয়া হয়ে ফিরে আসছে। সেই সাথে সাথে যুক্ত হয়েছে সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিস্থিতি। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বর্তমানের গেম। আফগানিস্থান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ার পর বাংলাদেশ। একটা কোন প্রসঙ্গ সব সময় হাতে থাকা চাই। বৈশ্বিক রাজনীতির চাকা বুঝি এভাবেই ঘোরে।
সর্বশেষ হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার বা লক্ষ্যবস্থু এর টার্গেট নয়। তাহলে সরাসরি সরকারকেই আক্রমন করা হতো। আক্রমনের ধরনে বৈশ্বিক রাজনীতির ছাপ। তবে বোঝা যাচ্ছে না। হয়ত দৃষ্টি আকর্ষনের পাশাপাশি দৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টাও থাকতে পারে। মূল লক্ষ্যমাত্রায় হয়তো ধীরে ধীরে আগানো হবে। শোলাকিয়া হামলায় কিন্তু তারই ইঙ্গিত।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের বাংলাদেশ অনেক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। কিন্তুু এসবই ছিলো সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটিতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাওয়া না পাওয়ার তাড়না থেকে। সেই খেলাও বাঁকে বাঁকে মোড় নিয়েছে। তাতে শুধু পক্ষ বিপক্ষ রূপে অংশগ্রহন করেছে। কিন্তু বর্তমানে যা হচ্ছে তাতে পক্ষ বিপক্ষ বোঝা গেলেও তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। কারা আক্রমনকারী তা যেমন অস্পষ্ট কারা যে আক্রান্ত হবে তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিরীহ পথচারী গৃহবধু এমনকি গরু, ছাগলও এই হামলা থেকে নিরাপদ নয়। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আপনি নিজেকে হঠাৎ একটা যুদ্ধক্ষেত্রের ভেতরে আবিস্কার করতে পারেন।
অতীতের সাথে আমাদের বর্তমান অবস্থার পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগে আমাদের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো দুর্বল হলেও সবমিলিয়ে পুরো শরীরটা শক্তিশালী ছিলো। বর্তমানে অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো শক্তিশালী হলেও পুরো শরীরটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা আমরা দৃশ্যমান উন্নতি লাভ করলেও নীতি-নৈতিকতার দিক দিয়ে মোটামুটি তলানীতে এসে পৌঁছেছি। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়।
হঠাৎ করে এই ভাবনা কেন পেয়ে বসল। তার কারণ কারোরই অজানা নয়। এটা অদৃশ্য ভীতি আর শংকার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। মুখ ফুটে কিছু বলি আর না বলি এটাই সত্য। যদিও এ পর্যন্ত কোনো কিছুই মহামারীর আকার ধারন করেনি। তবুও শান্তির সময়ে সামান্য অশান্তিও অনেক বেশী আতংক সৃষ্টি করে। একটা যুদ্ধ কালীন পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই ঘটবে বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে সেরকম কোন সময় এখনও আসেনি। তবুও খেলা জমে উঠেছে। ভীতির খেলা। যারা মাঠে নেমে পড়েছে তারা অদৃশ্য। সবাই যার যার মতো বলে। আসলে আমার মনে হয় লোকগুলো এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
ব্যাপরটাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কিছু একটা অদৃশ্য ছায়ার মতো অনুসরণ করছে আমাদের। সেটা যে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিগত দিনের ঘটনা প্রবাহ তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। সামান্য পটকার বিস্ফোরণ দিয়ে শুরু হয়েছিল। এখন রাতারাতি বোমায় পৌঁছে গেছে। ঘটনার গতি যে পাশ্চাদমুখী নয় তা স্পষ্ট। আর কেউ না বললেও আমি বলছি। আমরা সুস্পস্ট আতংকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
আসলে কোথায় যাচ্ছি আমরা। একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে। ঘটনার সুরতহালও হচ্ছে। সিদ্ধান্তও আসছে। সেই সিদ্ধান্ত কতোটা সঠিক তাও বোঝা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ উপপ্রধান মন্ত্রী এতোদিন পর বলছেন, ইরাক আক্রমন সঠিক ছিলো না। এমনকি আক্রমন পরবর্তী সিদ্ধান্তগুলোও ভুল ছিলো। ইরাকের আভ্যন্তরীণ সমস্যা এখন পৃথিবীব্যাপী মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষগুলো দিনে দিনে দানব হয়ে উঠেছে। এই কিছুদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে এর সামান্য আঁচ মাত্র লেগেছিল। এখন মনে হচ্ছে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। লক্ষণ মোটেও ভালো ঠেকছে না। ইতোমধ্যে আর যাই হোক লোক জনের সুস্থ্য স্বাভাবিক চিন্তার গতিধারা ব্যাহত করার কাজটি সাথর্কভাবেই হয়ে গেছে।একটা জাতিকে পরাজিত করতে হলে এটা হলো প্রথম ধাপ। তার ভাবনাকে এলোমেলো করে দেওয়া। আমরা সম্ভবতঃ প্রথম ধাপটিতে পা রেখেছি। এভাবেই হয়ত উপরে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর শূন্য থেকে ছুঁড়ে ফেলা হবে। এমনটাই মনে হচ্ছে।
আধুনিক পৃথিবীর প্রথম বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল ফ্রান্সে। ফরাসী বিল্পব নামেই যার পরিচিত। সেই বিপ্লবের রাস্তা ধরে সম্পুর্ণ ভিন্ন কায়দায় রুশ বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্যে একই ছিলো। পরিবর্তন। পরিবর্তন ঠিকই হয়েছিলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই পরিবর্তন সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনি। আফ্রিকার বিরাট সংখ্যক মুক্তিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র আজও অভিভাবকহীন হয়ে দুর্ভিক্ষের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। স্বাধীনতা তাদের জন্যে পরাধীনতার চেয়েও জঘন্য আর্থ সামাজিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তারা এক অন্তহীন অনিশ্চিত গন্তব্যে হাতড়ে বেড়াচ্ছে। সত্যিই দুঃখজনক। পরিবর্তন সব সময় মঙ্গলজনক নয়। অভিভাবকহীন সময় কল্যাণকর নয়। তাই বলে স্বাধীনতাকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। মূলতঃ অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই মূল্যবান।
বাংলাদেশের জন্ম বিশ্ব রাজনীতিতে কিছুটা হলেও নাড়া দিয়েছিল। প্রভাবশালী না হলেও জাতি রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান বিশ্বের দরবারে গরুত্বপূর্ণ ছিলো। তার হাত থেকে বেরিয়ে আসা বিশ্ব রাজনীতিকে কিছুটা হলেও নাড়া দিয়েছিলো। পরবর্তীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহ আরও জটিল আকার ধারন করে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়ে গেছে। সবার নজর সেদিকেই ছিলো।
কিন্তু সব কিছু একসময় থিতু হয়ে আসে। মানুষ আবার নষ্টালজিয়ায় ফিরে আসে। স্বাধীনতার পয়তাল্লিশ বছর পর বাংলাদেশ প্রসঙ্গ কারো কারো কাছে নষ্টালজিয়া হয়ে ফিরে আসছে। সেই সাথে সাথে যুক্ত হয়েছে সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিস্থিতি। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বর্তমানের গেম। আফগানিস্থান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ার পর বাংলাদেশ। একটা কোন প্রসঙ্গ সব সময় হাতে থাকা চাই। বৈশ্বিক রাজনীতির চাকা বুঝি এভাবেই ঘোরে।
সর্বশেষ হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার বা লক্ষ্যবস্থু এর টার্গেট নয়। তাহলে সরাসরি সরকারকেই আক্রমন করা হতো। আক্রমনের ধরনে বৈশ্বিক রাজনীতির ছাপ। তবে বোঝা যাচ্ছে না। হয়ত দৃষ্টি আকর্ষনের পাশাপাশি দৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টাও থাকতে পারে। মূল লক্ষ্যমাত্রায় হয়তো ধীরে ধীরে আগানো হবে। শোলাকিয়া হামলায় কিন্তু তারই ইঙ্গিত।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের বাংলাদেশ অনেক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। কিন্তুু এসবই ছিলো সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটিতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাওয়া না পাওয়ার তাড়না থেকে। সেই খেলাও বাঁকে বাঁকে মোড় নিয়েছে। তাতে শুধু পক্ষ বিপক্ষ রূপে অংশগ্রহন করেছে। কিন্তু বর্তমানে যা হচ্ছে তাতে পক্ষ বিপক্ষ বোঝা গেলেও তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। কারা আক্রমনকারী তা যেমন অস্পষ্ট কারা যে আক্রান্ত হবে তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিরীহ পথচারী গৃহবধু এমনকি গরু, ছাগলও এই হামলা থেকে নিরাপদ নয়। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আপনি নিজেকে হঠাৎ একটা যুদ্ধক্ষেত্রের ভেতরে আবিস্কার করতে পারেন।
অতীতের সাথে আমাদের বর্তমান অবস্থার পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগে আমাদের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো দুর্বল হলেও সবমিলিয়ে পুরো শরীরটা শক্তিশালী ছিলো। বর্তমানে অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো শক্তিশালী হলেও পুরো শরীরটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা আমরা দৃশ্যমান উন্নতি লাভ করলেও নীতি-নৈতিকতার দিক দিয়ে মোটামুটি তলানীতে এসে পৌঁছেছি। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়।
Comments
Post a Comment