রাষ্ট্রায়ন, শাসক গোষ্ঠী তৈরি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নাকি দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা শেখ হাসিনার জন্য কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
২০০৯ সালের শেষমেষ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে, যাতে তৎকালীন সামরিক শক্তির একটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিলো (!), যখন শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলেন, তখনই মাথার ভেতর একটা প্রশ্ন উদয় হয়েছিল। সরকারের এবারের করনীয় কি? কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও সেই প্রশ্ন বরবাদ হয়ে যায়নি। কারণ একটাই। আওয়ামী লীগ এখনও ক্ষমতায় টিকে আছে এবং আশা করা যাচ্ছে একটা সুদীর্ঘ সময় তারা ক্ষমতায় থাকবে। এ ক্ষেত্রে কিছুটা সময় পেরিয়ে গেলেও প্রশ্নটা আরও প্রাসাঙ্গিক হয়ে ওঠে যখন শেখ হাসিনা ২০১৪ তে এসে আবারও সরকার গঠন করেন। ব্যাপারটা মঞ্জুর এজন্যে যে বাংলাদেশের চলতি বাস্তবতায় আওয়ামী লীগেরই সরকার গঠনের প্রয়োজন ছিল। এবং ঘটনা অনেক খাতে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও দেশী-বিদেশী সমস্ত ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে শেষমেষ শেখ হাসিনাই আলোর মুখ দেখেন। অতীতেকে সামনে টেনে আনলে সরকারের সামনে অনেক নতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপশি অনেক অসমাপ্ত জটিল, জরুরী এবং প্রয়োজনীয় কাজ পড়েছিল। মুজিব হত্যাকারীদের বিচার, বুদ্ধিজীবিদের হত্যাকারীদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো বড় বড় রাজনৈতিক ইস্যুগুলো প্রক্রিয়াধীন ছিল এবং আছে। কিন্তুু এগুলোর সমাধানের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য একটা স্থায়ী রাজনৈতিক দর্শন এবং কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা আজ ৪০ বছর পর কেন জানি ভীষণ জরুরী হয়ে পড়েছে।
যে কোন সরকার ক্ষমতায় এলে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের যে কোন দেশে, জনগণের পাহাড় সমান প্রত্যাশা থাকে। আওয়ামী লীগের কাছেও সেটা ছিলো। আমার কাছে যতদূর মনে হয় অর্থনৈতিক উন্নয়নই এক্ষেত্রে ছিলো জনগণের আশার মূল কেন্দ্রবিন্দুু। সরকারও সেটাকে আকড়ে ধরলো। অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন ভোলানো দর্শন আর কর্মপরিকল্পনা। জনগন এসব মনে রাখে না। পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক উন্নয়নকারী সরকার জনগণের দ্বারা উৎখাত হয়েছে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। শাসন ব্যবস্থা একটা ভিন্ন বিষয়। এটা সবসময়ই পরিচালনা ও কার্যকারণ সংক্রান্ত বিষয় যা উন্নয়ন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যদিও এটা উন্নয়ন দ¦ারা কিছুটা হলেও প্রভাবাম্বিত। মূলতঃ একটা সফল এবং সার্থক রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সরকার হতে হলে তাকে আগে তার মূল কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে নিতে হবে। আওয়ামী লীগেরও সেটা করা উচিত ছিলো।
শেখ হাসিনা দেশপ্রেমিক। তিনি দেশের উন্নয়নের কথাই ভাবলেন। জনগণের সুখ-শান্তির কথাই ভাবলেন। পরিবর্তনকে বেছে নিলেন। কিন্তু তাকে বুঝতে হবে ইতিহাস অন্য কথা বলে। সফল এবং সার্থক সরকার পরিচালনায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক শর্তের একটা মাত্র শর্ত। এর আগেও আরও দুটো লক্ষ্যমাত্রা রয়ে গেছে। আর তা হলো রাষ্ট্রায়ন এবং শাসকগোষ্ঠী তৈরি করা। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলো তৃতীয় ধাপ। আর সবার উপরে যেটা করতে হবে তা হলো দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা। জাতিকে যদি দলীয় ভাবনার ভিত্তিতে মোটিভেট না করা যায় কোন উন্নয়নই অর্থবহ কিংবা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
একটা কথা মাথায় রাখতে হবে সন্তানরা বাব মার কাছ থেকে সম্পদ লাভ করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চাইতে চেতনা আর কর্মপদ্ধতি লাভ করে নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হওয়াই উত্তম।
যে কোন সরকার ক্ষমতায় এলে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের যে কোন দেশে, জনগণের পাহাড় সমান প্রত্যাশা থাকে। আওয়ামী লীগের কাছেও সেটা ছিলো। আমার কাছে যতদূর মনে হয় অর্থনৈতিক উন্নয়নই এক্ষেত্রে ছিলো জনগণের আশার মূল কেন্দ্রবিন্দুু। সরকারও সেটাকে আকড়ে ধরলো। অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন ভোলানো দর্শন আর কর্মপরিকল্পনা। জনগন এসব মনে রাখে না। পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক উন্নয়নকারী সরকার জনগণের দ্বারা উৎখাত হয়েছে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। শাসন ব্যবস্থা একটা ভিন্ন বিষয়। এটা সবসময়ই পরিচালনা ও কার্যকারণ সংক্রান্ত বিষয় যা উন্নয়ন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যদিও এটা উন্নয়ন দ¦ারা কিছুটা হলেও প্রভাবাম্বিত। মূলতঃ একটা সফল এবং সার্থক রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সরকার হতে হলে তাকে আগে তার মূল কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে নিতে হবে। আওয়ামী লীগেরও সেটা করা উচিত ছিলো।
শেখ হাসিনা দেশপ্রেমিক। তিনি দেশের উন্নয়নের কথাই ভাবলেন। জনগণের সুখ-শান্তির কথাই ভাবলেন। পরিবর্তনকে বেছে নিলেন। কিন্তু তাকে বুঝতে হবে ইতিহাস অন্য কথা বলে। সফল এবং সার্থক সরকার পরিচালনায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক শর্তের একটা মাত্র শর্ত। এর আগেও আরও দুটো লক্ষ্যমাত্রা রয়ে গেছে। আর তা হলো রাষ্ট্রায়ন এবং শাসকগোষ্ঠী তৈরি করা। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলো তৃতীয় ধাপ। আর সবার উপরে যেটা করতে হবে তা হলো দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা। জাতিকে যদি দলীয় ভাবনার ভিত্তিতে মোটিভেট না করা যায় কোন উন্নয়নই অর্থবহ কিংবা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
একটা কথা মাথায় রাখতে হবে সন্তানরা বাব মার কাছ থেকে সম্পদ লাভ করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চাইতে চেতনা আর কর্মপদ্ধতি লাভ করে নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হওয়াই উত্তম।
Comments
Post a Comment